স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি আসামীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিরা হলেন- নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি জেএমবি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সোহেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এদিকে রবিবার বিকেলে দুই জঙ্গি আসামিরা যাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আখাউড়া স্থলবন্দর পুলিশ ইমিগ্রেশন কক্ষে জেএমবি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলের ছবি টানিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবির) পক্ষ থেকে সীমান্তের প্রতিটি বিওপিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী ও পরিদর্শক মোর্শেদুল আলম জানান আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি বিধি মোতাবেক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ এর প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে নির্দেশনা আসার পর থেকেই প্রতিটি বিওপিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, জঙ্গিরা যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।
উল্লেখ্য, জেএমবির সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। মইনুল হাসান শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ও আবু সিদ্দিক সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বেটেশ্বর গ্রামে। রবিবার দুপুরে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে তাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply